Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
Vadro masher krishi
Details

আমন ধান

  • আমন ধান ক্ষেতে আগাছা জন্মালে তা পরিস্কার করতে হবে।
  • আগাছা পরিস্কার করার পর ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে।
  • নিচু জমি থেকে পানি নেমে গেলে এসব জমিতে এখনও আমন ধান রোপণ করা যাবে।
  • আমন মৌসুমে মাজরা, পামরি, চুঙ্গি, গলমাছি পোকার আক্রমণ হতে পারে। খোলপড়া, পাতায় দাগ পড়া রোগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে জমি নিয়মিত পরিদর্শন করে, জমিতে খুঁটি দিয়ে, আলোর ফাঁদ পেতে, হাত জাল দিয়ে পোকা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাছাড়া সঠিক বালাইনাশক সঠিক মাত্রায়, সঠিক নিয়মে, সঠিক সময় শেষ কৌশল হিসাবে ব্যবহার করতে হবে।

পাট

  • বন্যায় তোষা পাটের বেশ ক্ষতি হয়। এতে ফলনের সঙ্গে সঙ্গে বীজ উৎপাদনেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। বীজ উৎপাদনের জন্য ভাদ্রের শেষ পর্যন্ত দেশি পাট এবং আশ্বিনের মাঝামাঝি পর্যন্ত তোষা পাটের বীজ বোনা যায়।

আখ

     - এ সময় আখ ফসলের লালপচা রোগ দেখা দিতে পারে।

     - লাল পচা রোগের আক্রমন হলে আখের কান্ড পচে যায় এবং হলদে হয়ে শুকিয়ে যেতে   

   থাকে। এজন্য আক্রান্ত আখ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং জমিতে যাতে পানি না জমে

   সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

     - এছাড়া রোগমুক্ত বীজ বা শোধন করা বীজ ব্যবহার করলে বা রোগপ্রতিরোধী জাত

   চাষ করলে লাল পচা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

তুলা

  - ভাদ্র মাসের প্রথম দিকেই তুলার বীজ বপন কাজ শেষ করতে হবে।

  - বৃষ্টির ফাঁকে জমির জো অবস্থা বুঝে ৩-৪ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করে

    বিঘা প্রতি প্রায় ২ কেজি তুলা বীজ বপন করতে হয়।

  - তুলা বীজ বপনের সময় খুব সীমিত। তাই হাতে সময় না থাকলে জমি চাষ না দিয়ে

    নিড়ানি বা আগাছা নাশক প্রয়োগ করে জমি আগাছা মুক্ত করে ডিবলিং পদ্ধতিতে

    বীজ বপন করা যায়।

  - পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য পাহাড়ি তুলা-১ এবং পাহাড়ি তুলা-২ নামে উচ্চফলনশীল

    জাতের তুলা চাষ করতে পারেন।

শাকসবজি

  • ভাদ্র মাসে লাউ ও শিমের বীজ বপন করা যায়। এ সময় আগাম শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনের কাজ শুরু করা যেতে পারে। সবজির চারা উৎপাদনের জন্য উঁচু এবং আলো বাতাস লাগে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে। এক মিঃ চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা বীজতলা করে সেখানে উন্নত জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো এসবের বীজ বুনতে হবে।

গাছপালা

  • ভাদ্র মাসেও ফলদ বৃক্ষ এবং ওষধি গাছের চারা রোপন করা যায়। বন্যায় বা বৃষ্টিতে মৌসুমের রোপিত চারা নষ্ট হয়ে থাকলে সেখানে নতুন চারা লাগিয়ে শূন্য স্থানগুলো পূরণ করতে হবে। ভাদ্র মাসে আম, কাঁঠাল, লিচু, গাছ ছেটে ‍দিতে হয়। ফলের বোঁটা, গাছের ছোট ডালপালা, রোগাক্রান্ত অংশ ছেটে ‍দিলে পরের বছর বেশি করে ফল ধরে এবং ফল গাছে রোগও কম হয়।

প্রাণি সম্পদ

  • ভাদ্র মাসে তাল পাকা গরমে পোলট্রি শেডে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করতে হবে।আর টিনশেডে চটের ছালা রেখে মাঝে মাঝে পানি দ্বারা ভিজিয়ে দিতে হবে।যাতে করে অধিক গরমে মুরগিগুলো মারা না যায় এবং নানা রোগের বিস্তার না ঘটে। বাংলাদেশে গো খাদ্যের সমস্যা এখনও বিরাজমান। সে কারণে পতিত জমিতে নেপিয়ার, বাজরা, খেসারি, মটর, ইপিল ইপিল, গিনি ঘাস লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গরু ছাগলকে নিয়মিত গোসল করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে অসুখ বিসুখ কম হয়। তড়কা, বাদলা, গলাফুলা রোগ যাতে না হয় সেজন্য উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা বা ভেটেরিনারি সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।

মৎস্য সম্পদ

  • পুকুরে সার প্রয়োগের মাত্রা আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলতে হবে। জৈব সার ব্যবহার না করাই ভালো। খাদ্য ঘাটতির জন্য পরিমাণমত অজৈব সার ব্যবহার করা দরকার।
  • পুকুরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। পুকুরে নতুন মাছ ছাড়ার সময় এখন। মাছ ছাড়ার আগে পুকুরে জলজ আগাছা পরিস্কার করতে হবে।
Attachments
Publish Date
12/08/2021
Archieve Date
13/11/2021