Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
শৃ্ব মৃুবডপ থপহুবহ
Details

বোরো ধান:

 

    - এ সময় বোরো ধানের রোপিত চারার পরিচর্যা করতে হবে। ধানের চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর

      প্রথম কিস্তি, ৩০-৪০ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তি এবং ৫০-৫৫ দিন পর শেষ কিস্তি হিসেবে ইউরিয়া সার

      উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।

    - চারা রোপনের ৭-১০ দিনের মধ্যে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে পারেন। এতে একরে ৬৫ কেজি গুটি

      ইউরিয়া প্রয়োজন হবে।

    - বোরো ধানে নিয়মিত সেচ প্রদান, আগাছা দমন, বালাই ব্যবস্থপিনা সহ অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।

    - রোগ ও পোকা থেকে ধানের গাছকে বাচাতে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রয়োগ করতে

      পারেন।এ ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ, আন্তপরিচযা©, যান্ত্রিক দমন, উপকারী পোকা সংরক্ষণ, ক্ষেতে

      ডালপালা পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ধানক্ষেত বালাইমুক্ত করতে পারেন।

    - শেষ উপায় হিসেবে কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামশ©  নিয়ে সঠিক বালাইনাশক, সঠিক সময়ে, সঠিক মাত্রায়

      প্রয়োগ করতে হবে।

 

গম:

    - গমের জমিতে যেখানে ঘন চারা রয়েছে সেখানে কিছু চারা তুলে পাতলা করে দিতে হবে।

    - গম গাছ থেকে যদি শিষ বের হয় বা গম গাছের বয়স ৫৫-৬০ দিন হয় তবে জরুরীভাবে গম  

      ক্ষেতে একটি সেচ দিতে হবে।

    - ভালো ফলনের জন্য দানা গঠনের সময় আরেকবার সেচ দিতে হবে।

    - গম ক্ষেতে ইদুর দমনের কাজটি সকলে মিলে একসাথে করতে হবে।

 

ভুট্টা:

    - কৃষক ভায়েরা এ মাসে ভুট্টা গাছের গোড়ার মাটি তুলে দিতে হবে।

    - গোড়ার মাটির সংগে ইউরিয়া সার ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে এরপর সেচ দিতে হবে।

    - গাছের নিচের দিকের মরা পাতা ভেংগে দিতে হবে।

    - আর ভুট্টার জমিতে কোন সাথি ফসল বা মিশ্র ফসল চাষ করে থাকলে সেগুলোর প্রয়োজনীয় পরিচযv©

            করতে হবে।

 

আলু:

    - আলু ফসলে নাবি ধসা রোগ দমনে স্প্রেয়িং শিডিউল মেনে চলতে হবে।

    - এ সময় আলুর মড়ক রোগ দেখা দিতে পারে। এ রোগ দেখা দিলে দেরি না করে ২ গ্রাম ডায়থেন

      এম-৪৫ অথবা সিকিউর অথবা ইন্দোফিল প্রতি লিটার পানির সংগে মিশিয়ে ৭ দিন পরপর স্প্রে

      করতে হবে।

    - মড়ক লাগা জমিতে সেচ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

    - আলু ফসলে মালচিং, সেচ প্রয়োগ, আগাছা দমনের কাজগুলোও করতে হবে।

    - আলু গাছের বয়স ৯০ দিন হলে মাটির সমান করে গাছ কেটে দিতে হবে এবং ১০ দিন পর আলু

      তুলে ফেলতে হবে।

    - আলু তোলার পর ভালো করে শুকিয়ে বাছাই করতে হবে এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

 

 

তুলা:

    - কৃষক ভায়েরা এ মাসে তুলা সংগ্রহের কাজ শুরু করতে হবে। তুলা সাধারনত তিন পয©vয়ে সংগ্রহ

      করা হয়ে থাকে। শুরুতে ৫০% বোল ফাটলে প্রথমবার, বাকি ফলের ৩০% পরিপক্ক হলে দ্বিতীয়বার

      এবং অবশিষ্ট ফসল পরিপক্ক হলে শেষ অংশের তুলা সংগ্রহ করতে হবে।

    - আর রোদময় শুকনা দিনে বীজ তুলা উঠাতে হবে।

    - ভালো তুলা আলাদাভাবে তুলে ৩-৪ বার রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

    - ভালো তুলার সাথে যেন খারাপ তুলা কখনও না মেশে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডাল ও তেল ফসল:

    - মসুর, ছোলা, মটর, মাসকলাই, সরিষা, তিসি পাকার সময় এখন।

    - সরিষা, তিসি বেশি পাকলে রোদের তাপে ফেটে গিয়ে বীজ পড়ে যেতে পারে, তাই এগুলো ৮০ ভাগ

      পাকলেই সকাল বেলা সংগ্রহের ব্যবস্থা নিতে হবে।

    - ডাল ফসলের ক্ষেত্রে ফসল সংগ্রহের সময় হলে গাছ গোড়াসহ না উঠিয়ে মাটি থেকে কয়েক ইঞ্চি রেখে

      সংগ্রহ করতে হবে। এতে জমিতে উব©রতা এবং নাইট্রোজেন সরবরাহ বাড়বে।

শাকসবজি:

    - এ সময় ক্ষেতের শাকসবজির পরিচপয©v করতে হবে। টমেটোতে ফলছিদ্রকারী পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। প্রতি বিঘা জমির জন্য ১৫টি ফেরোমন ফuvদ স্থাপন করে এ পোকা সহজেই দমন করা যেতে পারে। আর আক্রমন বেশী হলে কুইনালফস গ্রুপের দেবিকুইন ২৫ ইসি অথবা কিনালা· ২৫ ইসি অথবা করোলা· ২৫ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার পরিমান মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়।

    - শীতকালে মাটিতে রস কমে যায় বলে সবজি ক্ষেতে চাহিদা মাফিক সেচ দিতে হবে।

গাছপালা:

    - সাধারনত এ সময় আম গাছে মুকুল আসে। গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূবে© আক্রান্ত গাছে টিল্ট-২৫০ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি অথবা ২ গ্রাম ডায়থেন এম-৪৫ প্রতি লিটার পানির সংগে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আমের আকার মটর দানার মত হলে গাছে ২য় বার স্প্রে করতে হবে।

প্রানি সম্পদ :

    - শীতকালে পোল্ট্রিতে অপুষ্টি, রানীক্ষেত, মাইকোপাজমোসিস, ফাউল টাইফয়েড, পেটে পানি জমা এসব রোগ দেখা দিতে পারে। মোরগ-মুরগীর অপুষ্টি জনিত সমস্যা সমাধানে খাবারের সাথে ভিটামিন এ, সি, ডি, ই, কে ও ফলিক এসিড সরবরাহ করতে হবে। শীতের তীব্রতা বেশি হলে পোল্ট্রি শেডে অবশ্যই মোটা চটের পর্দা লাগাতে হবে এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

- পোল্ট্রি লিটারে অ্যামোনিয়া গ্যাস রোধে ১ বগ©ফুট জায়গায় ১ কেজি হারে অ্যামোনিল পাউডার মিশাতে হবে।

    - এ সময় গাভীর যত্নে যেসব বিষয় নজর দিতে হবে তা হলো সঠিক সময়ে খাদ্য প্রদান, গোসল করানো, থাকার স্থান পরিস্কার করা, খাদ্র সরবরাহের আগে খাদ্য পাত্র পরিস্কার করা।

 

মৎস্য সম্পদ:

    -মৎস্যজীবী ভায়েরা শীতকালে মাছের বিশেষ যত্ন নেয়া দরকার। কারন এ সময় পুকুরে পানি কমে যায়। পানি দুষিত হয়। মাছের রোগ বালাইও বেড়ে যায়। শীতের সময় কার্প ও শিং জাতীয় মাছে ড্রপসি বা পেট ফোলা রোগ বেশি হয়। এ রোগের প্রতিকারে প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা স্টেপটোমাইসিন পরপর ৭ দিন খাওয়াতে হবে। এ বিষয়ে আপনার কাছের উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নিলে সবচেয়ে ভালো হয়।

Attachments
Publish Date
17/01/2020
Archieve Date
28/03/2020