Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
Ashar Masher Krishi
Details

ধান  :

* আউশ ধানের বাড়ন্ত পর্যায় এখন। এ সময় ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য যতœ নিতে হবে। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে হবে।

* আমনের বীজতলা তৈরির সময় এখন। সুস্থ, সবল বীজ ব্যবহার করবেন চারা তৈরির জন্য। ভালো চারা পেতে হলে প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ২ কেজি গোবর, ১০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ১০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। বীজতলা শুকিয়ে গেলে প্রয়োজনে সেচ প্রদান করতে হবে। বীজতলায় দীর্ঘসময় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। আগাছা পরিস্কার ও বালাই দমন কাজ নিয়মিত করতে হবে। চারার বাড়বাড়তি কম হলে বা পাতার রঙ হলুদ হয়ে গেলে পানির সাথে ইউরিয়া মিশিয়ে বীজতলায় ছিটিয়ে দিতে হবে।

 

শাক সবজি:

 

-         এ সময় উৎপাদিত শাক সবজির মধ্যে আছে ডাটা, গিমাকলমী, পুইশাক, চিচিংগা, ধুন্দল, ঝিংগা, শসা, বেগুন ইত্যাদি। এসব সবজির গোড়ার আগাছা পরিস্কার করতে হবে। সবজি ক্ষেতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। পানি জমলে দ্রæত সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

-        কুমড়া জাতীয় সব সবজিতে হাত পরাগায়ন বা কৃত্রিম পরাগায়ন অধিক ফলনে দারুনভাবে সহায়তা করে। গাছে ফুল ধরা শুরু হলে প্রতিদিন সকালে একাজ করতে হবে।

-        এ সময় আগাম জাতের শিম ও লাউয়ের জন্য প্রায় ৩ ফুট দুরে দুরে ১ ফুট চওড়া ও ১ ফুট গভীর করে মাদা তৈরি করতে হবে। মাদা তৈরির সময় প্রতি গর্তে ১০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম সরিষার খৈল, ২ কেজি ছাই, ১০০ গ্রাম টিএসপি ভালোভাবে মাদার মাটির সংগে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর প্রতি মাদায় ৩-৪ টি ভালো সবল বীজ রোপন করতে হবে।  

 

গাছপালা ব্যবস্থাপনা :   

 সারাদেশে এখন বৃক্ষ জাতীয় গাছের চারা লাগাবার উপযুক্ত সময়। কিছুদিনের মধ্যে সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফলদ, বনজ ও ভেষজ বৃক্ষ রোপণ অভিযান শুরু হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, খাদ্য পুষ্টির যোগানসহ অর্থনৈতিক লাভের জন্য আমাদের একাজ করতে হবে। যেখানেই উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যাবে যেমন বসতবাড়ির আঙ্গিনায়, পাহাড়ের পাদদেশে, রাস্তাঘাট, পুকুরপাড়, বাঁধ, নদীরপাড়, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা এবং পতিত অনাবাদি জমিতে পরিকল্পিতভাবে ফলদগাছ, বনজগাছ, বহুমুখী উপকারি গাছের চারা রোপণ করা যায়। সাধারণ হিসাব অনুযায়ী ১ ফুট চওড়া ও ১ ফুট গভীর গর্ত করে গর্তের মাটির সংগে ১০০ গ্রাম করে টিএসপি ও এমওপি সার মিশিয়ে দিন দশেক পরে চারা বা কলম লাগাতে হবে। 

* ফল বাগান স্থাপনের আগে শীতকাল বা শুকনো মৌসুমে সেচ সুবিধা আছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।

* সরকারি, আধাসরকারি ও নার্সারি হতে উন্নতমানের সুস্থ সবল চারা সংগ্রহ করতে হবে ।

* চারা শুধু রোপন করলেই হবেনা। এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। চারা রোপনের পর শক্ত খুঁটি 

   এবং খাঁচা দিয়ে চারা রক্ষা করতে হবে। এরপর আগাছা পরিষ্কার করা, প্রয়োজনে চারার গোড়ায় মাটি দেয়া,  

   প্রয়োজনীয় সেচ ও পানি নিকাশের ব্যবস্থা করা, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।

   প্রয়োজনে নিকটস্থ কৃষি কর্মীর পরামর্শ নিন।

 

   * মাতৃগাছ ব্যবস্থাপনাও এখন করা জরুরি। ফল সংগ্রহের পর সার প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার, দুর্বল রোগাক্রান্ত  

     ডালপালা কাটা/ছেঁটে দেয়ার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।

 

 

গবাদীপশু ও হাঁস মুরগী পালনে করনীয় :

 

          বর্ষাকালে গবাদিপশুকে সংরক্ষণ করা খড়, শুকনো ঘাস, ভুসি, কুড়া খেতে দিতে হবে। এ সময়ে প্রচুর কচুরিপানা ও অন্যান্য জলজ ঘাস পাওয়া যায়। মাঠ থেকে সংগৃহীত সবুজ ঘাস ভালোভাবে পরিস্কার না করে খাওয়ানো যাবেনা। বেশি পরিমান জলজ ঘাস ও কচুরিপানা খাওয়ালে গবাদিপশুর পাতলা পায়খানা হতে পারে। গবাদিপশুর শুকানো খড় খাওয়ানোর সময় প্রতি কেজি খড়ের উপর ২০৫ মিলি পানি ও ২০ গ্রাম ইউরিয়া পানির সাথে মিশিয়ে সরাসরি গবাদি পশুকে খাওয়ানো যায় এতে খাদ্যেমান বাড়ে ও মুখরোচক হয়।

         

          বর্ষাকালে গবাদিপশুর গলাফোলা, তড়কা, বাদলা, ক্ষুরারোগ মহামারী আকারে দেখা দিতে পারে। এ জন্য প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। কৃমির আক্রমন রোধ করার জন্য কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে অন্যান্য রোগের জন্য স্থানীয় পশু বিশেষজ্ঞ বা বিভাগীয় কর্মীর সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।

        

          বর্ষাকালে হাঁস মুরগীর ঘর যাতে জীবানুমুক্ত ও আলো বাতাসপূর্ন থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ মাসে হাঁস মুরগীর কৃমি, কলেরা, রক্ত আমাশয়, পুলরাম রোগ, সংক্রমন সর্দি দেখা দিতে পারে। হাঁস মুরগীকে ভেজা স্যাতসেতে জায়গায় না রেখে শুকনো ঘরে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে জীবানুনাশক স্প্রে করতে হবে।   

  

 

মাছ পালনে করনীয় :

 

         বৃষ্টি বা বন্যার কারনে পুকুরের পানি উপচিয়ে যেতে পারে। পুকুরের মাছও চলে যেতে পারে। ভালভাবে পুকুরের পাড় বেঁধে দিন ও জাল বা বাশের চাটাই দিয়ে ঘেরা দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আষাঢ় মাস মাছের পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়। আধুনিক উপায়ে মাছ চাষ করে বেশি লাভের জন্য দ্রæতবর্ধনশীল, মিশ্রচাষযোগ্য ও বাজারমূল্য বেশি এমন মাছের চাষ করুন। পরিমিত সুষম খাবার নিশ্চিত করতে ভুলবেন না। তাছাড়া নিয়মিত সম্পূরক খাবার, প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদনের জন্য জৈবসার ও রাসায়নিক সার, প্রয়োজনে চুন প্রয়োগ করার কাজ সারতে হবে। যা-ই করুন না কেন মাছ চাষে মৎস্যবিদ বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে খরচ কম হয় লাভ বেশি হয়।

Attachments
Publish Date
13/06/2021
Archieve Date
19/08/2021