Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
ashin Masher krishi
Details

রোপা আমন :
       আমন ধানের বাড়ন্ত পর্যায় এখন। ধান গাছের বয়স ৩০ থেকে ৪০ দিন হলে ইউরিয়া সার শেষ কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে। জমির আগাছা পরিস্কার করার পর ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।ইউিরিয়া সার উপরি প্রয়োগের সময় জমিতে ছিপ ছিপে পানি থাকলে ইউরিয়া সারের কার্যকারিতা বাড়ে।নিচু এলাকায়আশ্বিনমাসেরপ্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থানীয় উন্নত জাতের শাইল ধানের চারা অথবা বিআর-২২, ২৩ জাতের চারারোপন করতে পারেন।এ সময় বৃষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। সময়মত পানি না পেলে ফলন অনেক কমে যায়। সেজন্য সম্ভব হলে সম্পুরক সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল হয়।মনে রাখবেন সম্পুরক সেচ আমনের ফলন বহুগুন বাড়িয়ে দেয়।
এ সময় শিষ কাটা লেদা পোকা ধানের জমি আক্রমন করতে পারে। প্রতি বর্গ মিটার আমন জমিতে ২ থেকে ৫টি লেদা পোকার উপস্থিতি মারাত্মক ক্ষতির পূর্বাভাস। তাই সতর্কতার সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ মাসে ধান গাছে মাজরা, পামরি, চুঙ্গি, গলমাছি পোকার আক্রমন হতে পারে। এছাড়া খোলপোড়া, পাতায় দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়মিত জমি পরিদর্শণ করে, জমিতে ডাল পুতে, আলোর ফাদ পেতে, হাতজাল দিয়ে পোকা নিয়ন্ত্রন করতে হবে।প্রয়োজনে সঠিক বালাইনাশক সঠিক সময়ে শেষ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
আখ :
 কৃষক ভায়েরা আখের চারা উৎপাদনের উপযুক্ত সময় এখন। সাধারনতবীজতলা পদ্ধতি এবং পলিব্যাগ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করা যায়। পলিব্যাগ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করলে বীজ আখ কম লাগে এবং চারার মৃত্যুহার কম হয়।চারা তৈরি করে বাড়ির আঙ্গিনায় সুবিধাজনক স্থানে রেখে খড় বা শুকনো আখের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।চারার বয়স ১ ধেকে ২ মাস হলে মুল জমিতে রোপন করতে হবে। কাটুই বা অন্য পোকা যেন চারার ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
কৃষক ভায়েরা এ সময় মাঠ থেকে বন্যা বা বৃষ্টির পানি নেমে গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায়বিনা চাষে অনেক ফসল আবাদ করা যায়।এ সময় ভুট্টা, গম, আলু, সরিষা,মাসকলাই, বা অন্যান্য ডাল ফসল বিনা চাষে লাভজনকভাবে চাষকরা যায়।সঠিক পরিমান বীজ,সামান্য পরিমান সার, পরিচর্যা নিশ্চিত করতে পারলে কম সময়ে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
শাকসবজি :
 জমির মাটি এখনো ভেজা এবং স্যাতসেতে। আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদনের জন্য উচু জায়গা ভালভাবে কুপিয়ে পরিমান মতো জৈব ও রাসায়নিক সার বিশেষ করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে শাক উৎপাদন করা যায়। শাকের মধ্যে মুলা, লালশাক, পালংশাক, সরিষাশাক অনায়াসে করা যায়। তাছাড়া ফুলকপি, বাধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, বেগুন, ব্রোকলি বা সবুজ ফুলকপিসহ অন্যান্যশীতকালীন সবজির চারা তৈরি করে মুল জমিতে আবাদ করা যায়।
কলা :
 অন্যান্য সময় থেকে আশ্বিনমাসে কলার চারা রোপন করা সবচেয়ে বেশি লাভজনক। এতে ১০ থেকে ১১ মাসে কলার ছড়া কাটা যায়। ভালো চারা সংগ্রহ করে রোপন করতে হবে। কলার চারা রোপনের জন্য ২ থেকে ২.৫ মিটার দূরত্বে ৬০ সেমি. চওড়া এবং ৬০ সেমি.গভীর গর্ত করে রোপন করতে হবে। গর্ত প্রতি ৫ থেকে ৭ কেজি গোবর, ১২৫ গ্রাম করে ইউরিয়া টিএসপি এবং এমওপি সার এবং ৫ গ্রাম বোরিক এসিড ভালোভাবে মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন পর চারা রোপন করতে হবে। কলাবাগানে সাথি ফসল হিসাবে বিভিন্ন রবি ফসল চাষ করা যায়।

গাছপালা ঃ
    গাছের চারা রোপনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তবে পূর্বে রোপিত চারা মারা গেলে সেখানে নতুন চারা লাগিয়ে শূন্যস্থানগুলো পুরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিপূর্বে রোপিত চারার গোড়ায় মাটি দেওয়া, চারার অতিরিক্ত ও রোগাক্রান্ত ডালপালা ছেটে দেয়া, বেড়া ও খুটি দেয়ার কাজ করতে হবে। চারা গাছ সহ অন্যান্য গাছে সার প্রয়োগের উপযুক্ত সময় এখন। এ মাসে আম, কাঠাল, লিচু গাছ ছেটে দিতে হয়। ফলের বোটা, গাছের ছোট ডালপালা, রোগাক্রান্ত অংশ ছেটে দিলে পরের বছর বেশি করে ফল ধরে এবং ফল গাছে রোগও কম হয়।                 
প্রানি সম্পদ ঃ
হাস মুরগির কলেরা, ককসিডিয়া, রানীক্ষেত রোগের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রাথমিকভাবে টিকা প্রদান , প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ানোসহ এ বিষয়ে প্রানি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ মাসে হাস মুরগির বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে পারেন।বাচ্চা ফুটানোর জন্য অতিরিক্ত ডিম দেয়া যাবে না। আশ্বিনমাসে গবাদি পশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো দরকার। গর্ভবতি গাভী, সদ্য ভুমিষ্ট বাছুর ও দুধালো গাভীর বিশেষ যতœ নিতে হবে। গরুর তড়কা, বাদলা, গলাফুলা ওলান ফুলা রোগের জন্য প্রতিষেধক, প্রতিরোধক ব্যবস্থানিতে হবে।

মৎস্য সম্পদ :
 বর্ষায় পুকুরে জন্মানো আগাছা পরিস্কার করতে হবে এবং দরকার হলে পাড় বাধাই বা মেরামত করতে হবে।পুকুরের মাছকে নিয়মিত পুষ্টিকর সম্পুরক খাবার সরবরাহ করতে হবে।এসময়ও পুকুরে প্রাকৃতিক খাবারের উৎপাদন বাড়াতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে।যেসব পুকুরে মাছ আছে সেসবপুকুরে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অব্যাহত রাখবেন।এসময়ও জিওল মাছের পোনা সংগ্রহ করে পুকুরে ছাড়তে পারেন।

Attachments
Publish Date
16/09/2020
Archieve Date
31/12/2020