Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
Workshop
Details

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল এর আয়োজনে এবং কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মশলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ(৩য় পর্যায়) প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা এর অর্থায়নে ১৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে রাঙ্গামাটি সদরের আশিকা কনভেনশন পার্কে প্রকল্পের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মাঠ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ বিষয়ক দিনব্যাপী এক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো: নাসিম হায়দার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মশলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ(৩য় পর্যায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো: খায়রুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রাঙ্গামাটির অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো: হুমায়ুন কবীর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো: জলিল মন্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মর্ত্তুজ আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বান্দরবান জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. এ কে এম নাজমুল হক।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ কাজী শফিকুল ইসলাম। প্রকল্পের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড.ফ.ম. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষক উদ্যোক্তা তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে ডাল, তেল ও মশলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, আমদানি হ্রাস ও মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি গ্রামীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মৌচাষ বৃদ্ধি ও ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস করাও সম্ভব হবে। টেকনিক্যাল পর্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার পক্ষে প্রকল্পের চলমান কার্যাবলী, সমস্যা ও সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: খায়রুল আলম বলেন শুধুমাত্র উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। আমাদের দেশ ডাল, তেল ও মশলা ফসলের উন্নতমানের বীজের যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্বেও কৃষক পর্যায়ে সে চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ডাল, তেল ও মশলা ফসল চাষের জন্য একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এলাকা। তিনি কৃষক পর্যায়ে উৎপাদিত বীজের গুনগতমান যাতে সঠিক থাকে এবং অন্য কৃষকদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয় সেজন্য প্রদর্শণীভূক্ত কৃষকের উৎপাদিত বীজ প্যাকেটজাত করার পূর্বে অবশ্যই বীজের মান পরীক্ষার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এ এলাকায় ডাল, তেল ও মশলা ফসলের উন্নতমানের বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে এইসব ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমান বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: নাসিম হায়দার বলেন ভালো ফলনের জন্য ভালো বীজের কোন বিকল্প নেই। প্রদর্শণী ক্ষেতে চারা লাগানো থেকে ফসল কর্তণ, মাড়াই, ঝাড়াই, গ্রেডিং ও সংরক্ষণের প্রতিটি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অথবা উপজেলা কৃষি অফিসারের সংশ্লিষ্টতা থাকলে উৎপাদিত বীজের সঠিক মান বজায় রাখা সম্ভব হবে। কর্মশালায় রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি বিপনন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর প্রতিনিধিবৃন্দ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন।

Images
Attachments
Publish Date
17/10/2019
Archieve Date
29/11/2019