কৃষি তথ্য সার্ভিস এর রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক কার্যালয় এর আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গত ১২/০৬/২০২০ তারিখে করোনা কালীন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিতে করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: নাসিম হায়দার এবং আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী। সেমিনারে কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা বলেন করোনা ভাইরাসের কারনে গোটা মানবসভ্যতা আজ হুমকীর মুখোমুখি এসে দাড়িয়েছে । সম্প্রতি জাতসিংঘের মহাসচিব করোনা পরস্থিতিকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সংঘটিত সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক ও মানবিক সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বাংলাদেশেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে করোনা-পরর্বতী সময়ে এদেশকে খাদ্য সংকটের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে কৃষিখাতকে বাঁচাতে হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে যে কৃষক বাঁচলে তবেই বাঁচবে দেশ, মিটবে মানুষের খাদ্যের অভাব। এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের এখনই সময় প্রস্তুতি নেয়ার। মহামারি করোনার কারণে শাকসবজি, মৌসুমি ফলসহ কৃষিপন্যের স্বাভাবিক পরিবহন এবং সঠিক বিপনন ব্যাহত হচ্ছে । কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারছে না, আবার বিক্রি করে অনেক ক্ষেত্রে ন্যায্যমূল্যও পাচ্ছে না। র্বতমানে কৃষিপণ্যের বাজারজাত করা সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসাবে দখো দিয়েছে। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে না পারায় ফসল নষ্ট হয়ে অপচয় হচ্ছে ।এই সংকট মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সরকার গৃহীত বিভিন্ন বাস্তবমূখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি সকলকে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহব্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমান বলেন করোনার সময়ে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রণোদনা থেকে কৃষকরা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে মাঠে ফসল চাষ করতে পারবেন। তাছাড়া ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে ২২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। আমনের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে । ইতোমধ্যে আউশের জন্য বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আগামীর ফসল আমন ও রবি মৌসুমে বীজ, সার, সেচ প্রভৃতিতে যাতে কোন সমস্যা না হয়, সংকট তৈরি না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চলছে । আধুনিক/উফশি জাতের সম্প্রসারণ ও হাইব্রিড জাতের এলাকা বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নিতে হবে । তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন করোনা পরর্বতী র্দুভীক্ষ্ রুখতে পারে একমাত্র কৃষিই। কৃষি বিভাগের উপর প্রধানমন্ত্রীর এই আস্থা আর নির্ভরতা সম্প্রসারণ কর্মীদের কৃষকের পাশে থেকে প্রাকৃতিক র্দুযোগ কিংবা যেকোন মহামারীতে জীবনের ঝুকি নিয়ে যুদ্ধ করে যেতে সাহস যোগাবে র্মমে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করনে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS