বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্রে, খাগড়াছড়ি এর আয়োজনে বান্দরবান সদরে অবস্থিত হর্টিকালচার সেন্টার, বালাঘাটার প্রশিক্ষণ কক্ষে গত ২৯/০৭/২০১৯ তারিখ বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাত পরিচিতি, বৈশিষ্ট্য, চাষাবাদ পদ্ধতি, প্রদর্শণী স্থাপন ও বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিগ্যান গুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবান পার্বত্য জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ এ, কে এম নাজমুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হর্টিকালচার সেন্টার বালাঘাটার উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মিজানুর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিস রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী এবং বান্দরবান সদর উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ওমর ফারুক। বিনা খাগড়াছড়ি কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ জুয়েল সরকারের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ মো. ওমর ফারুক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মাঠ ফসল আবাদের জন্য উপযুক্ত সমতল জমির অভাব থাকায় এ এলাকায় ধান বা গমের আবাদ ও উৎপাদন চাহিদার তুলনায় কম। এক্ষেত্রে স্থানীয় জাতের পরিবর্তে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাত যা এ এলাকার জন্য উপযোগি সেগুলো চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারে। তিনি বলেন কৃষি একটি পরিবর্তণশীল বিজ্ঞান। তাই নতুন নতুন ফসলের জাত ও প্রযুক্তি সঠিকভাবে মাঠে প্রয়োগ করতে পারলে তা এ এলাকার কৃষির জন্য একটি যুগান্তকারী ফল বয়ে আনবে। প্রধান অতিথিব বক্তব্যে কৃষিবিদ এ, কে এম নাজমুল হক বলেন প্রমানিত প্রযুক্তিসমূহ তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে সফলভাবে পৌছে দিতে প্রশিক্ষণ একটি কার্যকর মাধ্যম। বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাত পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, প্রদর্শণী স্থাপন ও বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ফলে কৃষকরা পুরানো জাতের পরিবর্তে অধিক উপযোগি সম্ভাবনাময় নতুন জাত চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে ঊঠবে। এক্ষেত্রে প্রদর্শণী চাষীদের আরো বেশি যতœবান হয়ে সম্প্রসারণকর্মীদের পরামর্শ মোতাবেক আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বনের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রশিক্ষণ পর্বে উদ্ভাবিত আমন ধানের জাত পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, ধানের বালাই দমন ব্যবস্থাপনা, মাড়াই, ঝাড়াই, কর্তন ও বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয় এবং বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ বিষয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক নির্মিত বিভিন্ন ডকুড্রামা প্রদর্শণ করা হয়। প্রশিক্ষণে ৬৫ জন কৃষক-কৃষাণী ও সম্প্রসারণকর্মী অংশগ্রহন করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS