Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
Seminer
Details

গত ০৩ জুন,২০২৩ তারিথে কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কার্যালয়, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আয়োজনে "পাহাড়ী কৃষির অগ্রযাত্রায় তথ্য প্রযুক্তি" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় রাঙ্গামাটির বনরুপাস্থ আঞ্চলিক কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুরজিত সাহা রায়ের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: নাসিম হায়দার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বান্দরবান জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: রফিকুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী। এ সময় কৃষির অগ্রযাত্রায় তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা, বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে কার্যকরভাবে পৌছে দিতে দিব্যমান কর্মপন্থা বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে ড. সুরজিত সাহা রায় বলেন বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের বাস্তবমুথী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার ফলে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে । কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে পরিচালিত ‘কৃষিকল সেন্টার’ এ যে কোনো অপারেটর থেকে ১৬১২৩ নম্বরে ফোন করে যে কেউ কৃষি বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিতে পারছেন।কৃষকের জানালা, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, বালাইনাশক নির্দেশিকা, সার সুপারিশ নির্দেশিকা ইত্যাদি কৃষি এ্যপস এর মাধ্যমে কৃষকরা ঘরে বসেই সঠিক তথ্য পেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য বিস্তারের জন্য কৃষি তথ্য সার্র্ভিস সারা দেশে ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করেছে। বিদ্যমান কৃষি তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকের দোড়গোয়ায় পৌছে দিতে পারলে কৃষকের উৎপাদন যেমন বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে তেমনি তরুণ উদ্যোক্তারা এ খাতে এগিয়ে আসবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন তধ্য প্রযুক্তির ব্যপক উন্নতির ফলে ভূমির বন্ধুরতা, দূর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেচ সল্পতাসহ কৃষির নানা প্রতিবন্ধকতা সত্বেও পাহাড়ী অঞ্চলের কৃষি আজ বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরাও আজ ঘরে বসে তাদের উৎপাদিত পন্য অনলাইনে সঠিক সময়ে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছে। বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য পোর্টালের মাধ্যমে নিয়মিত আওহাওয়া বার্তা পেয়ে সঠিক সময়ে প্রাকৃতিক নানা র্দূযোগ থেকে ফসলকে বাচাতে পারছেন।তিনি আরো বলেন ফেসবুক, টুইটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ট্যাব, রেডিও এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলি ব্যবহার করে পাহাড়ী কৃষির টেকসই উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।সেমিনারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ,  কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের  প্রতিনিধি, কৃষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগন অংশগ্রহন করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।

Attachments
Publish Date
04/06/2022
Archieve Date
29/10/2022