কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার আয়োজনে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মশলার বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় ০১/০২/২০২২ খ্রি: তারিখে এসএমইভূক্ত কৃষক/র্কষাণীদের দিনব্যাপী রিফ্রেশার্স কোর্স ডিএই, রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরচালক কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী রাঙ্গামাটির জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আবদুচ ছোবহান এবং ডিএই রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের কৃষি প্রকৌশলী কৃষিবিদ দেবাশীষ চাকমা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন শুধু মাত্র উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ডাল, তেল ও মশলা ফসল চাষের জন্য একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এলাকা। তিনি কৃষকদের নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে দক্ষ কৃষক তৈরি হবে ও কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহে কার্যকর চ্যানেল তৈরি হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন বাংলাদেশে ডাল, তেল ও মশলা ফসলের উন্নতমানের বীজের ঘাটতি থাকায় বেশিরভাগ কৃষক নিজেদের উৎপাদিত সাধারণ মানের বীজ ব্যবহার করায় ফলন অনেক কম পান। এ সমস্যা দূর করতে এ প্রকল্পের আওতায় তৃণমূল পর্যায়ে আগ্রহী কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় উপকরণ, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। যার ফলে এসব কৃষক উদ্যোক্তারা মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বীজ বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয়ও করছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন অদূর ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এ এলাকায় ডাল, তেল ও মশলা ফসলের উন্নতমানের বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে এইসব ফসলের উৎপাদন অনেক বাড়বে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS