রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মশলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ০১ মার্চ ২০২২ তারিখে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জিবতলী ইউনিয়নের ধনপাতা বøকের মুরলী পাড়ায় স্থানীয় উন্নত জাতের হলুদের বীজ উৎপাদন প্রদর্শণীর মাঠ দিবস এবং রিভিউ ডিসকাসন অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু মো: মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ আপ্রæ মারমা, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, জিবতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদত্ত কার্বারী, পাড়া প্রধান অংশাজাই কার্বারী, উপসহকারী কৃষি অফিসার বিরাজ মোহন চাকমা এবং সীমা চাকমা। উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মুকুল কান্তি দেওয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ পাহাড়ের কৃষকরা পাহাড়ী ঢালে গতানুগতিকভাবে নিজেদের উৎপাদিত সাধারনমানের বীজের মাধ্যমে আদা ও হলুদ চাষ করে আসছেন। উন্নতমানের বীজ ব্যবহার না করার কারনে কৃষকরা কাঙ্খিত ফলন পাচ্ছে না। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মশলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের মাধ্যমে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে এবং উৎপাদিত বীজ বিক্রির জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। মুরলীপাড়ার প্রত্যন্ত এলাকার হলুদ চাষী পাইসানু মার্মার উৎপাদিত উন্নতমানের হলুদ বীজ ব্যবহার করে এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও আগামীতে হলুদের উৎপাদন আরো বাড়াতে পারবেন এবং তা বিক্রি করে লাভবান হবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ আবু মো: মনিরুজ্জামান বলেন ভালো ফলনের পূর্বশর্তই হচ্ছে ভালো মানের বীজ। শুধুমাত্র উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। পাহাড়ে উৎপাদিত হলুদের গুনমান উৎকৃষ্ট হওয়ায় দেশের প্রায় সর্বত্র এই হলুদের বেশ চাহিদা রয়েছে। সাধারন কৃষকরা ফসল চাষে যাতে উন্নত জাতের ভালো মানের বীজ ব্যবহার করতে পারে এবং অধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরন করতে পারে তার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরামর্শ প্রদান, প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং উপকরণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। মাঠদিবসে বিষেশ অতিথিবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ মতামত ব্যক্ত করেন। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ, জনপ্রতিনিধী এবং কৃষক কৃষানিরা উপস্থিত ছিলেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS