কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল এর আয়োজনে গত ২৫/০২/২০১৯ খ্রি: তারিখে আঞ্চলিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির (জঅঞঊঈ) সভা অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, রাঙ্গামাটি অঞ্চল এর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব কৃষিবিদ প্রনব ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল।
সভার শুরুতে আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ সহকারি কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান বিগত সভার কার্যবিবরণী এবং বর্তমান সভার আলোচ্য বিষয়াবলী সভায় উপস্থাপন করেন। সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিএডিসি, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, এটিআই, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, এআইএস, পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরসহ কৃষক প্রতিনিধী, সার ও বীজ বিক্রয় প্রতিনিধীরা চলমান কার্যক্রম, পার্বত্য এলাকার সার্বিক কৃষির সমস্যা, সম্ভাবনা, উন্নয়ন এবং কৃষি সেবা তথা কৃষি প্রযুক্তি সমূহ তৃণমুল পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে পৌছানোর বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত প্রহন করেন। সভায় পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, খাগড়াছড়ির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ বলেন পার্বত্য এলাকায় উদ্যান ফসলের মধ্যে আম ও লিচু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় আম ও লিচুর পরিচর্যা সম্পর্কে তিনি সভায় বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন ফুল ফোটার পর থেকে আম,লিচুও মাল্টা বাগানে গোবর, বিভিন্ন রাসায়নিক সার বিশেষ করে বোরন প্রয়োগ করতে হবে। সভাপতি মহোদয় এআইএস প্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করে পার্বত্য এলাকার উপযোগী ফলের বালাই ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডকুড্রামা তৈরি ও তা নিয়মিত প্রদর্শণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সার বীজ ব্যবসায়ী প্রতিনিধী বলেন এ এলাকায় আগাছানাশক প্রয়োগের প্রবনতা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা যত্র তত্র আগাছানাশক ব্যবহার করছেন যার ফলে মাটির স্বাস্থ্য আজ হুমকীর সম্মুখীন। এ ব্যপারে কৃষকদের কাছে সঠিক তথ্য প্রদানের ও তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেরয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সভাপতি মহোদয় আহব্বান জানান। তিনি অত্র অঞ্চলে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কাজে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসাবে জনবল সংকট ও যানবাহন সংকটের কথা উল্লেখ করেন। প্রতিবন্ধকতা উত্তরণে জোর প্রচেষ্টা চালানোর ব্যপারে তিনি সকলের সক্রিয় অংশগ্রহন কামনা করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস