পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী ফসল ও ফলের জাত উন্নয়ন কর্মসূচীর অর্থায়নে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্রে, খাগড়াছড়ি এর আয়োজনে খাগড়াছড়ি সদরে অবস্থিত বিনা উপকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কক্ষে গত ১৩/০৬/২০১৯ তারিখ বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহের পরিচিতি এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিনা সদর দপ্তর ময়মনসিংহ এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. বীরেশ কুমার গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( গবেষণা অনুবিভাগ) কৃষিবিদ কমলারঞ্জন দাশ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক( প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা) বিনা, ময়মনসিংহ এবং কৃষিবিদ মোহাম্মদ সফর উদ্দিন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
বিনা খাগড়াছড়ি কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ জুয়েল সরকারের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিগ্যান গুপ্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মোহাম্মদ সফর উদ্দিন বলেন বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পার্বত্য এলাকায় খরিপ-১ মৌসুমে বিনাধান-১৯ এবং রবি মৌসুমে বিনাধান-১৪ ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জণ করেছে। এছাড়া এ এলাকার উপযোগী অন্যান্য ফসলের জাত সম্প্রসারণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ কমলারঞ্জন দাশ বলেন পরিবর্তিত আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ফসলের উপযোগী জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে চলেছে। এর মধ্যে বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিনা উদ্ভাবিত খরা, বন্যা ও লবনাক্ততা সহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের ধান দূর্যোগপ্রবন এলাকাগুলোতে কৃষকরা সাফল্যের সাথে চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। পার্বত্য এলাকার উপযোগী বিভিন্ন ফসলের নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সেগুলো কার্যকরভাবে কৃষকদের মাঝে বিস্তার করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহব্বান জানান। তাছাড়া সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল যেমন গোলমরিচ, কাজুবাদাম, মেটেআলু, কফির চাষাবাদ বাড়ানোর ব্যপারে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। কৃষিবিদ ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের পরিচিতি এবং চাষাবাদ কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। এছাড়া কর্মশালায় পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিগণ স্ব স্ব ক্ষেত্রের উদ্ভাবন সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিদগন ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস