কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আয়োজনে বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ২৭/০৫/২০২১ ইং তারিখ দিন ব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা ডিএই রাঙ্গামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ঢাকার হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো: আফতাব উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো: মশিউর রহমান, বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, খামারবাড়ি, ঢাকার প্রকল্প পরিচালক, কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন দেশের পার্বত্য অঞ্চলে উদ্যান ফসল চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন উচ্চমূল্যের ফল যেমন আম, লিচু, মাল্টা, কমলা, কাজুবাদাম চাষে এ অঞ্চলের অগ্রগতি ইতিমধ্যেই সারা দেশের নজর কেড়েছে। এসব ফলের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় উচ্চমূল্যের ফসল কফি চাষও এ এলাকার কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে পারে। পার্বত্য অঞ্চলে অনাবাদি পতিত পাহাড়ে কফি ও কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহন করেছে। অদুর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের উৎপাদিত কফি ও কাজুবাদাম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো: মশিউর রহমান বলেন কোভিড অতিমারীর বিরুপ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মত দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা চরম ঝুকির মধ্যে পড়েছে। করোনাকালীন সময়ে বর্তমান সরকারের বাস্তবমুখী বিভিন্ন কৃষি ও কৃষক বান্ধব পদক্ষেপ গ্রহন করার কারনে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সংস্থার আন্তরিক এবং সুদক্ষ কর্মকান্ডের ফলে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ বেশ ভালোভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: আফতাব উদ্দিন বলেন সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিগত কয়েক বছরে পার্বত্য অঞ্চলে ফল চাষে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ এলাকার আম, লিচু, কাঠাল, কলা, আনারস, কাজুবাদাম দেশের ফলের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। তবে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে প্রচলিত জাতের পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবিত এলাকার উপযোগী জাত ধারাবাহিকভাবে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের কাছে পৌছে দিতে হবে। তিনি পাহাড়ে বিদ্যমান প্রচলিত ফলের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় উচ্চমূল্যের বিদেশী ফল যেমন রাম্বুটান, আনার, পার্সিমন ইত্যাদির বানিজ্যিক বাগান স্থাপনের প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা বলেন অনেক আগে থেকেই পাহাড়ী অঞ্চলের কৃষকরা অন্যান্য উদ্যান ফসলের পাশাপাশি সীমিত পরিসরে কাজুবাদাম এবং কফির চাষ করে আসছে। কাজুবাদাম এবং কফির বানিজ্যিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কাজুবাদাম এবং কফির উন্নত জাতের চারা কলম সরবরাহ করে নতুন নতুন প্রদর্শণী বাগান স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে অচিরেই পাহাড়ের সাধারন কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার কাংখিত পরিবর্তণ ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় রাঙ্গামাটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এসআরডিআই এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস