কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার আয়োজনে এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় ০২ আগস্ট ২০২২ তারিখে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ বিষয়ক রোভিং সেমিনার ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পালের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং কৃষি কমিটির আহব্বায়ক অংসুছাইন চেীধুরী। উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ আপ্রু মারমা। সেমিনারে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং প্রকল্পের বাস্তবায়িত কার্যক্রম, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আলোকপাত করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন এক সময় বাংলার কৃষি ছিল পুরোটাই প্রকৃতি নির্ভর। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত কৃষি আবহাওয়া পরিমাপক বিভিন্ন আইসিটি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের আগাম কৃষি আবহাওয়া বার্তা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে বিরুপ আবহাওয়ায় ফসলহানির হাত থেকে কৃষকরা তাদের ফসল বাঁচাতে পারছে। তিনি আরো বলেন সারা দেশে কৃষকদের নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে এবং এসএমএস ও ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে উক্ত কৃষকদের নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষির সামগ্রিক আধুনিকায়নের কোন বিকল্প নেই। উন্নত আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি না থাকার কারনে ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণীঝড়ে প্রায় ৩ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার কারনে উন্নত আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০০৭ সালের মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণীঝড় সিডরের সময়ে মৃতের সংখ্যা মাত্র ৪ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছিল। অবাধ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে তৃনমূল পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য কার্যকরভাবে পৌছে দেওয়া সম্ভব হলে এদেশের কৃষি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেমিনারে পরিবর্তিত পরিবেশে পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ে করণীয় বিষয়ে অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ আপ্রু মারমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ এবং জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা: বরুন কমুর দত্ত আলোকপাত করেন। সেমিনারে মতামত ব্যক্ত করেন জেলা পরিষদের সদস্য এবং কৃষি কমিটির আহব্বায়ক অংসুছাইন চেীধুরী, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুর্গেশ্বর চাকমা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম। সেমিনারে রাঙ্গামাটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং দুই শতাধিক কৃষক কৃষাণী অংশগ্রহন এবং মতামত ব্যক্ত করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস