তুলা উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি জোনের আয়োজনে ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলা গবেষণা, তুলা চাষ সম্প্রসারণ এবং বাজারজাতকরণের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। তুলা উন্নয়ন বোর্ড সদর দপ্তর ঢাকার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ মো: আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রæ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং কৃষি কমিটির আহব্বায়ক অংসুই ছাইন চেীধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: নাসিম হায়দার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল। উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমা। কর্মশালায় বিষয় ভিত্তিক কীনোট পেপার এবং তুলা চাষের বাস্তবায়িত কার্যক্রম, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক নাছির উদ্দীন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রæ চৌধুরী বলেন পার্বত্য এলাকায় অনেক পূর্ব থেকেই জুমে তুলা উৎপাদিত হতো। এখানকার আদিবাসীদের জীবন যাত্রায় তুলার ঐতিহ্য অংগাঙ্গীভাবে জড়িত। দেশে যে পরিমান তুলা উৎপন্ন হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তুলা কিছুটা দীর্ঘমেয়াদী ফসল এবং চাষাবাদে প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হওয়ায় তুলার চাষ অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়েছিল। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার সম্ভাবনাময় অন্যান্য উচ্চমূল্যের উদ্যানতাত্তিক ফসলের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে লাভজনক তুলা চাষ সম্প্রসারণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এ লক্ষে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদও তুলা চাষীদের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে। এ অঞ্চলে ক্ষতিকর তামাকের পরিবর্তে তুলাই হতে পারে সবচেয়ে ভালো বিকল্প ফসল। পাহাড়ে তুলা চাষের সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করে সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার জন্য তিনি আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: আখতারুজ্জামান বলেন বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তুলা ব্যবহারকারী ও আমদানীকারক দেশ। তুলার গড় ফলনে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। তুলা চাষের আওতা এবং গড় ফলন বাড়াতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন লাগসই প্রযুক্তি এবং উচ্চফলনশীল জাত উদ্বাবিত হয়েছে, যা সফলভাবে কৃষকের মাঠে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাহাড়ে তুলার চাষ বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। তুলা চাষে সহজ শর্তে কৃষিঋণ নিশ্চিত করা গেলে এবং তুলার সাথে বিভিন্ন সাথী ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করা গেলে পাহাড়ে তুলা চাষ উল্লেখযোগ্য পরিমান বাড়বে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, কৃষক/কৃষাণী, তুলা ব্যবসায়ী, মিডিয়া ব্যক্তিত্যসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস